তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:
দুর্নীতি মুক্ত সেবা দিতে ব্যর্থ হলে সরকারি কর্মকর্তাদের জেলের ভাত খেতে হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদকের মামলা ক্যান্সারের মতো, যে একবার খেয়েছে সে বুঝেছে।

বুধবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করতে দুদক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের মামলা একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমরা কারো বিরুদ্ধে মামলা দিতে চায়না। মামলা যাতে না হয় সেজন্য আপনারা সতর্ক থাকরেন। বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু ঘুষ খেলেই কি দূনীর্তি? না। ফাইল বন্দী রেখে কেউকে বিপদে ফেলা এটাও এক প্রকার দূর্নীতি। তাই সাবধান হয়ে যান, আইন মেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যান।

তিনি বলেন, ‘আমরা গত এক বছরে ৮টি বিভাগের ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করেছি। অনেকে মনে করেন তারা আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। আমার যাদের ধরেছি, তারা এ দেশেরই মানুষ। যাদেরকে ধরেছি তারা সবাই শিক্ষিত। তাদের কেউ ব্যবসায়ী, কেউ সরকারি কর্মকর্তা।’

বিভাগী কমিশনার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দুর্নীতির অভিযোগগুলো সবার মাঝে তুলে ধরা হয়। পরে দুদক চেয়ারম্যান বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা প্রতিনিধিদের কাছে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি রোধে করণীয় বিষয়ে মতামত জানতে চান।

এ সময় জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায়। এই শাখা নিয়ে আমাদের কাছে প্রায়ই অভিযোগ আসে। একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি অনেক কাজ করি, আবার আমার অনেক থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ হয়রানিমুক্তভাবে, দুর্নীতিমুক্তভাবে সেবা পায় কিনা সেটা আমাদের দেখা উচিত। তৃণমূলের এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ঊর্ধ্বতনস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আসার প্রবেশাধিকারও পায় না।’